শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়নের এখনই সময়

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ। একজন আজন্ম ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, নিরহংকারী, সদালাপী ও সুমিষ্টভাষী। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও তিনি কখনও দেখান না দাম্ভিকতা। কর্মীবান্ধব এ নেতা খুব সহজেই কর্মীদের আপন করে নেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আস্থাভাজন হিসেবে শেখ হাসিনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যখন উত্তরায় আওয়ামী লীগ কর্মী খুঁজে পাওয়া যেত না, তখন তিনি দলের হাল ধরেছেন। একদিনের জন্য ছেড়ে যাননি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে।

নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ বৃহত্তর মিরপুর থানার হরিরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক (১৯৮৪-১৯৮৫) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হরিরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (১৯৮৫-১৯৮৭) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের
বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (১৯৮৭-১৯৯২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (১৯৯২-১৯৯৩) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক (১৯৯৪-১৯৯৭) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য (১৯৯৩-২০০৬)। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক (২০০৬-২০১২) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। সর্বশেষ তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মী বান্ধব নেতা নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজকে দলের দূঃসময়ে স্বোচ্ছার দেখা গেছে। জামায়াত বিএনপির দুঃশাসনের সময় মিটিং মিছিলে সর্বত্রই তাকে দেখা যেতো। এজন্য হয়েছেন বারবার নির্যাতিত, কারাবরণও করেছেন অসংখ্যবার।

১৯৮৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর মিরপুর বৃদ্ধিজীবি শহীদ মিনারে দেয়াল লিখতে গিয়ে সর্বপ্রথম গ্রেফতার হন। তার সাথে ছিলেন বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ.বি.এম মাজহার আনাম এবং কার্যকরী সদস্য হিমাংশু কিশোর দত্ত। ১৯৮৭ সালের ১৩ই ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তার গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার অবৈধ নির্বাচন প্রতিরোধ করতেিগিয়ে তিনি ও প্রয়াত আবুল হাসিম চেয়ারম্যানসহ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ১১টি মামলার আসামি হন। বিএনপির ক্যাডার কর্তৃক তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়।

ময়মনসিংহের সিনেমা হলে বোমা হামলা মামলায় ২০০২ সালে ঈদের দিন গ্রেফতার করা হয়। একই দিনে গ্রেফতার হন বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি শ্রদ্ধেয় শেখ বজলুর রহমান।

ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করতে গিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার, পুলিশি নির্যাতন ও কারাবরণ করেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। ২০০৭-০৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

বৃহত্তর উত্তরার রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মী সমর্থকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা। মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা যে কোন দুঃসময়ে তাকে পাশে পেয়ে থাকেন।

তারা আরও জানান, কর্মীবান্ধব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়নের এখনই সময়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com