বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

গুয়ারেখার চেয়ারম্যান মিজান গাজীর রেশানলের শিকার সংবাদ কর্মী সোহেল

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গ্রামের কূটকৌশলী রাজনীতির মারপ্যাচে সাধারণ মানুষকে বলির পাঠা বানানোর গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের মহা নায়ক গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাজী ও তার ভাই প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলু গাজীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত ইউনিয়নের উপ নির্বাচনের রেশ ধরে চলতি সময়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে এক ধরনের রাম রাজত্ব কায়েম করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে দুই ভ্রাতৃত্বের বিরুদ্ধে। আর সেই সূত্র ধরেই গত ২২/১০/২৩ তারিখে সুপরিকল্পিত ভাবে জালিস মাহমুদ রানাকে টার্গেট করে ঠান্ডা মাথায়।জামাত শিবিরের স্টাইলে রাতের অন্ধকারে মিজান গাজীর বাহিনীরা সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান নিজেই নির্বাচনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাসায় এনে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। এদিকে ২২/১০ তারিখের সমগ্র বিষয়টি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন সহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মিজান গাজীর বাসা থেকে জালিসকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। অবশ্য জালিসের বাবা ইদ্রিস গাজী কোন কিছুর উপায় না দেখে মুহুর্তের মধ্যে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। আর সেই কারণে স্থানীয় পাটিকেলবাড়ীর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালিসকে উদ্ধার করেন। সেই কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান গাজী দারুণ ইমেজ সংকটে পড়েছে। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের।

ঘটনার রাত্রে প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় জালিস মাহমুদ রানা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, নির্বাচনে রেশ ধরে জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমার উপর। ঘটনার সময়ে বাবু শেখ, রাসেল শেখ,মহিউদ্দিন হাওলাদার, শাকিল হাওলাদার, রাজু হাওলাদার, রানা মৃধা, শাহরিয়ার রাহাত, ফুলরাজ গাজী ও শাকিল সিকদার আমার উপর অমানুবিক কায়দায় হামলা করে। সয়ং চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান গাজীও মারধর করে বলে জানান। প্রশাসন উদ্ধার করতে সক্ষম না হলে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীররা আমাকে মেরে ফেলতো।

এদিকে পূর্বের ঘটনার দশদিন যেতে না যেতে আবারও বেপরোয়া গুয়ারেখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান গাজীর ভাই ( ৮ ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি) মোঃ লাভলু গাজী ( প্যানেল চেয়ারম্যান) ও তার সঙ্গী আলতাফ গাজী, রাকিব গাজী,আল আমিন হাওলাদার, মাহমুদ গাজী, মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মজিবর
খান পরিকল্পিত ভাবে জালিস মাহমুদ রানার মামলার প্রধান সাক্ষী মোঃ সোহেল মোল্লার ও তার মাকে বেদম মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল। অভিযোগ উঠেছে মামলার সাক্ষী সোহেল মোল্লার কোন ভাবে বুঝ করতে না পারার কারনেই সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়,গত ২২/১০/২৩ তারিখ জালিসের মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল মোঃ সোহেল মোল্লার। স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ তার ভাই জনপ্রতিনিধি লাভলু গাজী বহু লোভনীয় প্রস্তাব দেয় মামলার সাক্ষী মোঃ সোহেল হ
মোল্লা । গণ মাধ্যম কর্মী সোহেল সত্যের মধ্যে থেকে কোন আপোষ করেনি বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান গাজীর সাথে। আর সেই কারণে সুকৌশলে ৩১/১০/২৩ তারিখ সকাল ০৮টর দিকে হঠাৎ সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় হামলা করে বর্তমান জনপ্রতিনিধি ও তার বাহিনীরা। এসময়ে সোহেল মোল্লার এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। হামলার আঘাতে সোহেল মোল্লার হাত ভেঙে যায় বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। এদিকে সোহেলের পাশাপাশি সোহেলের মাকে আঘাত করে বলে জানান।

সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সরাসরি গুয়ারেখা ইউনিয়নে যান। ঘটনার সত্যতা বাছাই করা হয়। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, মামলার প্রধান সাক্ষী মোঃ সোহেল মোল্লার সাক্ষী থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে সয়ং চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান গাজী । পাশাপাশি বেচে থাকার জন্য চমৎকার চাকুরিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সব কিছু প্রস্তাব উপেক্ষা করে নীতি গত ভাবে সব প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করা হয়। আর সেই কারণেই ৩১/১০/২৩ তারিখ মঙ্গলবার আকর্ষিক হামলার শিকার হয়। এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধি লাভলু গাজীকে বহুবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু একটি বারের জন্যও ফোন রিছিব করেননি। তবে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি লোকমুখে শুনেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযোগ পাননি বলে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কথা হয় আহত সোহেল মোল্লার সাথে। সোহেলের মা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার ছেলে চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে আমাকে এবং সোহেল মোল্লা কে মারধর করে। আমার ছেলের হাত ভেঙে দিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাই মেম্বার মোঃ লাভলু গাজী ও তার বাহিনীর লোকজনরা। আমি কঠিন শাস্তির দাবি জানাই। আহত সোহেল বলেন, আমি পূর্বের মামলার প্রধান সাক্ষী। আমাকে সামাজিক ভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান । পাশাপাশি সাক্ষী না দেওয়ার প্রস্তাব করেন।আমি চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার খেশারাত স্বরূপ আমার উপর নগ্ন হামলা করে। আমি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। জামাত বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হোক। আমাদের এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান। আমার মতো অনেকে নিরাপদ নয় গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com